সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবরুদ্ধ সাংবাদিক এক ঘণ্টা পর উদ্ধার
ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে এক সংবাদকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এক পর্যায়ে প্রাণে বাঁচতে সাংবাদিক কাজী রেজাউল করিম বিপ্লব সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সাইদুল ইসলামের অফিস কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধের খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে তাকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী সংবাদিক কাজী রেজাউল করিম বিপ্লব দৈনিক এশিয়ান এজ পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন এবং তিনি সাভার প্রেসক্লাবের সদস্য।
সংবাদকর্মী কাজী বিপ্লব জানান, কয়েকদিন আগে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দুর্নীতির ভিডিও চিত্র প্রকাশ করি। আজ আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ১৫ থেকে ২০ জন ওষুধ কোম্পানির লোকেরা আমার উপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করতে আসে। এক পর্যায় আমি প্রাণ বাচাঁতে দৌড়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় আরএমও সাইদুল ইসলামের অফিস কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেই। এরপর তারা আমাকে ওই কক্ষের ভিতরেও হামলার চেষ্টা করে। পরে সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে। এই ফাঁকে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা সটকে পড়ে।
জানতে চাইলে আরএমও সাইদুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের জানান, দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক কাজী রেজাউল করিম দৌঁড়ে এসে আমার কক্ষে আশ্রয় নেয়। এর কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকজন লোক তাকে ( কাজী বিপ্লব)কে খোঁজাখুঁজি করছিল। এক পর্যায়ে আমার কক্ষের সামনে হট্টোগোলের চেষ্টা করলে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর ১টার দিকে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভীড় কেনো? জানতে চাইলে তিনি (আরএমও) বলেন, এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ তৌহিদ আল হাসান স্যার বলতে পারবেন। আমার মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই। পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসানের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল হুদা যুগান্তরকে বলেন, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করেন। যার ফলে চিকিৎসরা ওই কোম্পানির অপ্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ লিখেন। এমন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, যা নিন্দনীয়।

